নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নৌকার বিপক্ষে অবস্থান করা ও ছোট ভাইকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করায় হারবাং ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মিরানুল ইসলাম ও বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছৈয়দ নূরকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
একইভাবে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজের ছোটভাই নাছির উদ্দিনকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে সময় নির্ধারণ করে দিয়ে আল্টিমেটাম দিয়েছেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগ।
রোববার রাতে ফাসিয়াখালী মাদরাসা মাঠে নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী হেলাল উদ্দিন হেলালীর সমর্থনে আয়োজিত নির্বাচনী পথসভায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান এ ঘোষনা দেন। নির্ধারণ করে দেয়া সময়ের মধ্যে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি হুশিয়ারি দেন।
অপরদিকে রোববার সন্ধ্যায় হারবাং করমুহুরী পাড়ায় নৌকার প্রার্থী মেহেরাজ উদ্দিন মিরাজ এর নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান তাদের সাময়িক বহিস্কারের বিষয়টি জানান।
জানা যায়, চতুর্থ দফায় ইউপি নির্বাচনে হারবাং ইউনিয়নে নৌকা না পাওয়ায় বর্তমান চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম তার ছোট ভাই জাহেদুল ইসলামকে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছেন। একইভাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছৈয়দ নূর বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন নৌকার বিপক্ষে গিয়ে।
অভিযোগ উঠেছে মিরানুল ইসলাম জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী জহির উদ্দিন আহমদ বাবরের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, হারবাং ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে কাজ না করে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে কাজ করার সত্যতা পাওয়ায় দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই জনকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে।
একইভাবে দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজের ছোটভাই নাছির উদ্দিনকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করায় চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফাসিয়াখালী ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন চৌধুরীকে সময় নির্ধারণ করে দিয়ে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য ইউনিয়নে নৌকার বিরোধীতাকারীদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: